আজঃ রবিবার ● ১০ই চৈত্র ১৪৩০ ● ২৪শে মার্চ ২০২৪ ● ১২ই রমযান ১৪৪৫ ● রাত ১২:০৮
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

মরনোত্তর দেহ দান করে জ্ঞানের বাঁতিঘর শচীন্দ্র নাথ রায়ের মানবতার  দৃষ্টান্ত…

ফাইল ছবি

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ শচীন্দ্র নাথ রায়,একজন জাতি গড়ার কারিগর। জ্ঞানের বাঁতিঘর হয়ে আদর্শ এ শিক্ষক জীবনের বেশীরভাগ সময় শিক্ষকতার মহান পেশায় ব্রত ছিলেন। আমৃত্যু তিনি নিঃস্বার্থভাবে মানব কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনারবাংলা বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের আদর্শ সোনারমানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পাঠদান করেছেন। ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আলোকিত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে তৃনমূলে বিশেষ ভূমিকা রাখা শচীন্দ্র নাথ রায় মরণের পরেও চিকিৎসা শিক্ষায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি তার মরনোত্তর দেহ দান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বৌলাকান্দা বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক অশীতিপর শচীন্দ্র নাথ রায় ১ ফেব্রুয়ারী বেলা সাড়ে ১২টায় বরিশালের কাউনিয়া ক্লাব রোডের বাসায় বার্ধক্য জনিত কারনে পরলোক গমণ করেন। শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দান করা করা হয়। মরনোত্তর ধর্মীয় ক্রিয়াদি সম্পন্ন শেষে ২ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মনিরুজ্জামান শাহিনের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সর্বজন শ্রদ্ধেয় শতবর্ষী শিক্ষক শচীন্দ্র নাথ রায় তার তিন ছেলে ও একমাত্র মেয়েকেও উচ্চ শিক্ষিত সৎ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রাখা তার পরিবারের বড় ছেলে গৌরাঙ্গ লাল রায় কাউখালীর উত্তর নীলদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক,মেজ ছেলে  মানস কুমার রায় বরিশালের বাকেরগঞ্জের হেলাল উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ও ছোট ছেলে  তাপস কুমার রায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির ফজিলা রহমান মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক। এছাড়া কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি তাপস কুমার রায় হোমিও চিকিৎসক হিসেবে মানবসেবায় ব্রত রয়েছেন। একমাত্র মেয়ে মনীষা রাণী রায় টিঅ্যান্ডটির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ছোট পুত্রবধু বেলা রাণী মন্ডল বরিশালের বানারীপাড়ার দক্ষিণ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক,মেজ পুত্রবধু মলিনা রাণী বড়াল বরিশাল সদর হাসপাতালের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার ও বড় পুত্রবধু নীলিমা রাণী বড়াল সুগৃহিণী। এদিকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানবতাবাদী শিক্ষক শচীন্দ্র নাথ রায় মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য তার মরনোত্তর দেহ দান করে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লাসহ শিক্ষা সচেতন মহল তার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন