আজঃ শনিবার ● ৩০শে চৈত্র ১৪৩০ ● ১৩ই এপ্রিল ২০২৪ ● ২রা শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ১:০৯
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

বানারীপাড়ায় সরকারি পুকুর ভরাট করে দখলের অভিযোগ

ফাইল ছবি

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় পৌর শহরে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি পুকুর ভরাট করে অবৈধ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বরিশাল জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,পৌরসভার মেয়র,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও থানার ওসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জানা গেছে, বানারীপাড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্দিহার গ্রামে উপজেলা পরিষদ লাগোয়া হাল ৩১১ নম্বর দাগের ৩০ শতক সম্পত্তিতে একটি বৃহৎ আকারের পুকুর বিদ্যমান রয়েছে। যারমধ্যে প্রায় ১৩ শতক সরকারি খাস সম্পত্তি রয়েছে। ওই পুকুরটি দীর্ঘ বছর ধরে পাশ্ববর্তী ২০-২৫টি পরিবার ব্যবহার করে আসছিল। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার রিপন ঢালী ও নাঈম মোল্লা এ পুকুরটি বালি ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও তাতে তারা কর্নপাত না করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালি ভরাট কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। পুকুরের এ সম্পত্তি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এদিকে ঐতিহ্যবাহী জনগুরুত্বপূর্ন এ পুকুরটি ভরাটের ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ এলাকার জনসাধারণকে নানা ভোগান্তি পোহাতে হবে। এছাড়া পুকুর কিংবা জলাশয় ভরাট করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও এক্ষেত্রে সেই বিধানও অমান্য করা হয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি পুকুর ভরাট করা হলেও রহস্যজনকভাবে তারা নিরব রয়েছেন। এ ব্যপারে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ বিষয়ে রিপন ঢালী ও নাঈম মোল্লা দাবি করেন সরকারি নয় তারা তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর ভরাট করছেন। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন,সরকারি খাল,পুকুর কিংবা সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা হলে সেক্ষেত্রে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরকে দেখার প্রয়োজন। ওই পুকুর ভরাটের বিষয়ে তিনি এখনও লিখিত অভিযোগ পাননি, পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে গত দুই দশকে বানারীপাড়া পৌর শহরে সরকারি ও ব্যাক্তিমালিকানাধীন শতাধিক পুকুর,জলাশয় ও ১৪/১৫টি সরকারি জনগুরুত্বপূর্ণ খাল ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করায় বর্ষা মৌসুমে গোটা পৌর শহরে ব্যপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি ও পরিবেশ দূষনের কারনে পৌরবাসীকে অন্তহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন