আজঃ শনিবার ● ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ ● ২০শে এপ্রিল ২০২৪ ● ১০ই শাওয়াল ১৪৪৫ ● রাত ৯:০২
শিরোনাম

By: মুক্তি বার্তা

বানারীপাড়ায় সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় নতুন প্রজন্ম একুশের চেতনা ধারণ ও লালণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে !

ফাইল ছবি

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী। শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর দিন মহান ২১ ফেব্রুয়ারী ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। মায়ের মুখের ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য সারা বিশ্বে একটি মাত্র জাতি রক্ত দিয়েছে। আর সেই গৌরবের জাতি বাঙালী জাতি। অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সোনার বাংলা বির্নিমাণে একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা  প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হলো মুক্তিযদ্ধের শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ মিনার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বানারীপাড়ায় সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা ৫২’র ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও একুশের চেতনা লালণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলার বেশির ভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতে শহীদ মিনার থাকলেও সিংহভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। বানারীপাড়া উপজেলার ১২৬ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলে শহীদ মিনার রয়েছে। এছাড়া উপজেলায় ২০ টি মাদ্রাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই। ফলে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একুশের চেতনা ধারণ ও লালণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন নির্মাণ সহ অবকাঠামো উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার ও শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় প্রতি বছর চাঁদা তুলে ‘কলা গাছের’ শহীদ মিনার তৈরী করে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা রাস্তার মোড়ে মোড়ে  দিবসটি পালণ করতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম বলেন, মায়ের মুখের ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য যারা অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাঁদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা রেখে নতুন প্রজন্মের মধ্যে একুশের চেতনা ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম ফারুক জানান,
ইতোমধ্যে উপজেলার  কয়েকটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫২’র ভাষা আন্দোলণের স্মৃতির শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা বলেন,শৈশব ও কৈশোর কাল থেকে একুশের  চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা প্রয়োজন। এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। একই অভিমত ব্যক্ত করে বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমিটির সদস্য ও পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল,বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা,মুক্তিযুদ্ধকালীণ বেজ কমান্ডার বেণী লাল দাস গুপ্ত বেণু,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তরুনেন্দ্র নারায়ণ ঘোষ ও বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমনসহ সচেতন মহল একুশের চেতনা প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন